গেম খেলে টাকা ইনকাম করার উপায় (Earn Money by playing game)

আসলেই কি অনলাইনে গেম খেলে ইনকাম করা যায়? যদি আপনার মনে এমন প্রশ্ন জেগে থাকে। তাহলে এই প্রশ্নের উওরে বলবো, হ্যাঁ! আজকের দিনে আপনি যদি একজন গেমার হয়ে থাকেন ৷ তাহলে আপনি শুধুমাত্র গেম খেলে প্রচুর পরিমানে ইনকাম করতে পারবেন।

গেম খেলে টাকা ইনকাম করার উপায় (Earn Money by playing game)
গেম খেলে টাকা ইনকাম করার উপায়

আপনি যদি একটু ভালোভাবে খোজ নিতে পারেন ৷ তাহলে এমন অনেক মানুষকে খুজে পাবেন ৷ যারা কোনো প্রকার শ্রম ব্যয় না করে ৷ শুধুমাত্র হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়ে গেম খেলে টাকা ইনকাম করতে পারছে।

তবে আপনিও যদি অনলাইন থেকে গেম খেলে টাকা ইনকাম করতে চান। তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারন আজকে আমি গেম খেলে টাকা ইনকাম করার উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

কিভাবে আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়ে মাসে হাজার হাজার পর্যন্ত টাকা ইনকাম করবেন ৷ সে বিষয়ে তো অবশ্যই বিস্তারিত আলোচনা করবো।

এর পাশাপাশি আপনি যদি একজন গেমার হয়ে থাকেন ৷ তাহলে গেম খেলার জন্য কোন কোন নিয়ম গুলো মেনে চলতে হবে। সে বিষয়েও বিষদভাবে আলোচনা করবো। এবং টাকা ইনকাম করার গেম কোন গুলা এই নিয়ে আজকের আর্টিকেল।

তাই আপনি যদি গেম খেলে আয় করতে চান। এবং গেম খেলে আয় করার উপায় সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আপনার হাতে শুধুমাএ ১০ মিনিট সময় নিয়ে আজকের পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।

তাহলে আজকের আর্টিকেল থেকে আপনি অনেক অজানা বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন।

Read This
আজকে লুডু খেলে ইনকাম কিংবা ছোটো খাটো কোনো গেম খেলে টাকা আয় করা নিয়ে কোনো কথা বলবো না। বরং মোবাইলে গেম খেলে টাকা আয় করে কিভাবে আপনি ভাল ইনকাম করতে পারবেন ৷ সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

কেন মোবাইলে গেম খেলে টাকা ইনকাম করবেন?

বর্তমানে আমরা এমন একটা সময় পার করছি। যেখানে অনলাইন বা অফলাইনে Game খেলার বিষয়টা এক প্রকার শখের কাজ হয়ে দাড়িয়েছে। সাধারনত উঠতি বয়সি তরুন তরুনী রা এইসব গেম খেলতে বেশ অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে।

সত্যি বলতে এখনকার গেম গুলোতে এমন কিছু ফিচার যুক্ত করা হয়েছে। যার ফলে কেউ যদি এই গেম গুলোকে নিয়মিত খেলে, তাহলে সে নিমিষেই উক্ত গেমসের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে।

আর এই গেমের প্রতি আসক্ত হওয়ার ফলে একজন নতুন গেমারও একদিন Pro Player হয়ে উঠে। ঠিক একইভাবে এই আসক্তিতে শুধুমাএ একজন বা দুজন নয়। বরং তাদের মতো আরও লক্ষ লক্ষ ছেলে মেয়েরা এই সব গেমসের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছে।

এখন আপনি যদি গেমস খেলায় আসক্ত এইসব ব্যক্তিকে টার্গেট করেন ৷ তাহলে কিন্তুু আপনি হিউজ পরিমান অডিয়্যান্সকে টার্গেট করতে পারবেন। আর এতো বেশি অডিয়্যান্স যখন আপনার হাতের মুঠোয় থাকবে ৷

তখন আপনার মোবাইলে গেম খেলে টাকা আয় করার অনেক গুলো পথ খুলে যাবে। কারন আমি এর আগে বলেছি যে, আপনি যা কিছুই করুন না কেন। সবার আগে আপনাকে বেশ বড়সড় একটা অডিয়্যান্স কে ম্যানেজ করতে হবে।

আর আপনার হাতের নাগালে বড় একটা কমিউনিটি থাকা মানে হলো, আপনার ইনকাম করার পথ আরও প্রশস্ত হওয়া।

কারা গেম খেলে টাকা ইনকাম করতে পারবে?

সবাই কি সব ধরনের কাজ করতে পারে? -না, বরং উপযুক্ত ব্যক্তিরাই নির্দিষ্ট কিছু কাজ করতে পারে। ঠিক তেমনি আপনি যদি ভেবে থাকেন যে সবাই গেম খেলে টাকা ইনকাম করতে পারবে।

তাহলে আপনার ধারনা সম্পূর্ণ ভুল। কারন এখানেও আপনাকে দক্ষতার বিনিময়ে টাকা Income করতে হবে।

Listen
আপনি অনলাইনের যে সেক্টরেই থাকুন না কেন ৷ সবার আগে একটি কথা ভালোভাবে মাথায় রাখবেন, সেটি হলো Online Income এর কোনো পথ সহজ নয়। বরং এখানেও আপনাকে যথেষ্ট শ্রম ব্যয় করতে হবে। এবং তুমুল প্রতিযোগীতার পরেই সফলতা অর্জন করতে হবে

বাস্তবিক জীবনে যেমন আপনি কোনো প্রকার অভিজ্ঞতা ছাড়া চাকরি পাবেন না ৷ ঠিক একইভাবে আপনি যখন গেম খেলে টাকা আয় করতে চাইবেন ৷

তখনও কিন্তুু আপনার অনেক Experience এর প্রয়োজন পড়বে। এবং সেই অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ গেমসের উপরেই থাকতে হবে।

একবার ভেবে দেখুন, বর্তমানে জনপ্রিয় গেমস হলো Freefire এবং Pubg. এখন মনে করুন যে, আপনিও পাবজি খেলেন। এবং আমিও পাবজি গেম খেলি।

এখন আমি যদি ভালো খেলতে না পারি, তাহলে কি আপনি আমার খেলা দেখতে চাইবেন? না, কখনই না। কারন যতোক্ষন না আপনি আমার কোনো প্রতিভা দেখবেন। ততোক্ষণ আপনি আমার খেলা দেখতে আগ্রহী হবেন না, তাইনা?

ঠিক তেমনি, আপনিও যদি গেইম খেলে টাকা আয় করতে চান ৷ তাহলে আপনার ভিতরে নতুন কোনো প্রতিভা থাকতে হবে। আপনার গেম খেলার ধরন একটু আলাদা হতে হবে।

যাকে আমরা বলে থাকি Pro Player. আপনাকেও তাদের মতো প্রো প্লেয়ার হতে হবে। তাহলেই কিন্তুু আপনি গেম খেলে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

Game খেলে টাকা ইনকাম করার জন্য কি কি প্রয়োজন?

তো গেম খেলে ইনকাম করতে হলেও আপনাকে যে যথেষ্ট পরিমানে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হতে হবে। তা এইটুকু আলোচনা থেকে আশা করি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন ৷

সেজন্য এবার আমাদের জেনে নেওয়া উচিত যে আপনি যদি Game খেলে ইনকাম করতে চান। তাহলে আপনার কোন কোন জিনিসের প্রয়োজন পড়বে।

No-1: গেমসের প্রতি আগ্রহ

দেখুন আপনি যদি গেমস খেলে আয় করতে চান। তাহলে সবার আগে আপনার ভিতরে গেমসের প্রতি যথেষ্ট আগ্রহ থাকতে হবে। কারন আপনি যে কাজ করুন না কেন, আপনার সেই কাজের প্রতি পর্যাপ্ত আগ্রহ থাকতে হবে।

কারন, আপনার যে কাজে আগ্রহ নেই। আপনি যদি সেই কাজ করেন, তাহলে কোনো একটা সময়ে আপনার সেই কাজের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে যাবে। এবং কোনো একটা সময়ে আপনি সেই কাজের প্রতি বিরক্তবোধ করবেন।

ঠিক একইভাবে আপনি যদি ইনকাম করার জন্য গেমসকে বেছে নেন ৷ তাহলে আপনার ক্যারিয়ার গড়ার মাঝপথে গিয়ে হাল ছেড়ে দিতে হবে।যার ফলে আপনার সময় ও শ্রম দুটোই বৃথা হয়ে যাবে। 

No-2: গেমসে এক্সপার্ট হওয়া

একটা কথা চিন্তা করে দেখুন তো, ইউটিউবে তো অনেক Gamming Channel আছে। কিন্তুু আপনি কি সব চ্যানেলের ভিডিও দেখেন? -না, আপনি কিছু কিছু চ্যানেলের ভিডিও দেখেন, তাইনা?

এখন প্রশ্ন হলো, এতো গুলো চ্যানেল থাকার পরেও আপনি কিছু কিছু চ্যানেলের ভিডিও কেন দেখেন? এর কারন হলো, সেই চ্যানেলে যে ব্যাক্তিটি Gameplay করে। তার মধ্যে কিছু না কিছু ক্রিয়েটিভিটি আছে। সেজন্যই শুধু আপনি না বরং আপনার মতো আরও অনেকেই সেই চ্যানেলের ভিডিও গুলো দেখে।

ঠিক এবার যদি আপনার দিক থেকে চিন্তা করি। তাহলেও কিন্তুু কোনো প্রকার ব্যাতিক্রম দেখতে পারবেন না।

যদি আপনিও Game খেলে Income করতে চান। তাহলেও আপনাকে উক্ত গেমসে এক্সপার্ট হতে হবে। তাহলে আপনি বড় একটা অডিয়্যান্সকে টার্গেট করতে পারবেন। 

No-3: উপযুক্ত ডিভাইস 

যেহতুু আপনি গেমস খেলতে চান, সেহুতু আপনার কাছে গেম খেলার জন্য একটি উপযুক্ত ডিভাইস থাকতে হবে। সেটা হতে পারে মোবাইল অথবা কম্পিউটার। তবে সচরাচর কম্পিউটার এর প্রাধান্যতা সর্বদাই বেশি থাকবে।

কারন আপনি যদি কম্পিউটার এর মাধ্যমে কোনো গেমসকে Run করেন। সেক্ষেত্রে আপনি অনেক উন্নতমানের Graphic উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়াও কম্পিউটার বা ল্যাপটপের স্কিনের সাইজও অনেক বড় হয়ে থাকে।

এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, “ভাই আমি কি মোবাইল দিয়ে গেমস খেলে টাকা ইনকাম করতে পারবো না “? হ্যাঁ! অবশ্যই পারবেন।

বর্তমানে এমন অনেকেই আছে। যারা তাদের হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়ে গেম খেলে প্রচুর পরিমানে অর্থ উপার্জন করতে পারছে। তবে এখানে একটা কথা বলে রাখা উচিত যে, আপনি স্মার্টফোনে গেম খেলবেন। সেখানে কোনো সমস্যা নেই।

কিন্তুু আপনার সেই ফোনটি একটু হাই কোয়ালিটি সম্পন্ন হতে হবে। নাহলে যখন আপনি কোনো গেমসকে আপনার ফোনে Run করবেন। তখন আপনি নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। যেমন, ল্যাগিং,হ্যাং ইত্যাদি।

PRO TIPS:
এখানে হাই কোয়ালিটি সম্পন্ন মোবাইল বলতে আমি বেশ কিছু বিষয়কে এক করে বুঝিয়েছি। যেমন, ফোনের Ram, Rom, Processor ইত্যাদি।

No-05: টুকিটাকি এডিটিং করার ধারনা 

দেখুন, যখন আপনি গেম খেলে আয় করতে চাইবেন। তখন কিন্তুু আপনাকে নিয়মিত Gameplay করতে হবে। কারন যতোক্ষন না কেউ আপনার গেমপ্লে দেখবে না।

ততোক্ষন আপনি কোনো প্রকার কমিউনিটি তৈরি করতে পারবেন না। এখন একটা বিষয় চিন্তা করে দেখুন, আপনি যে গেমপ্লে গুলো তৈরি করবেন। তখন আপনাকে সবার আগে আপনাকে গেম খেলার দৃশ্য গুলোকে Screen Record করতে হবে।

এবং পরবর্তীতে সেই ভিডিও ফুটেজ গুলোকে ইডিট করতে হবে। এরপর কিন্তুু সেই ভিডিও গুলো একটা পূর্ণাঙ্গ গেমপ্লে তে রুপান্তর হবে।

আর এই কাজ গুলো করার জন্য আপনার টুকটাক ভিডিও ইডিট করা শিখে নিতে হবে। তার মানে এটা বলছি না যে, আপনাকে Video Editing এ মাস্টারমাইন্ড হতে হবে।

আপনাকে তেমন কোনো প্রকার দক্ষতার প্রয়োজন পড়বে না। শুধুমাত্র ভিডিও এর ফুটেজ গুলোকে এক করার মতো টুকটাক ধারনা রাখতে হবে।

এছাড়াও আপনি যদি ভিডিওর সাথে সাথে আপনি যদি আরও কোনো Music Effect যুক্ত করতে পারেন। তাহলে আপনার ভিডিওটি দর্শকদের কাছে আরও আর্কষনীয়তা পাবে। 

গেম খেলে টাকা আয় করার উপায়

যাক, এতোক্ষন ধরে আপনি অনেক কিছু জানতে পারলেন। আশা করি উপরোক্ত সব গুলো আলোচনা ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

সেই ধারাবাহিকতায় এবার আপনাকে গেম খেলে টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করবো। বলতে গেলে এবার আমরা আর্টিকেলের মূল টপিক সম্পর্কে আলোচনা করবো।

NOTE:
তবে আলোচনা করার পূর্বে আপনাকে কিছু কথা জানতে হবে। যেমন, অনেকেই হয়তবা লুডু খেলে ইনকাম, স্পিনিং করে ইনকাম করার চিন্তা করে এই আর্টিকেলে এসে গেছেন। বোঝতে পাড়ছেন না কিভাবে ইনকাম? চলুন বলি]

এখন আর্টিকেলের এই পর্যন্ত এসেও আপনি তেমন কোনো আলোচনা খুজে না পেয়ে হয়তবা আপনি হতাশ হয়ে গেছেন। আবার অনেকেই আর্টিকেল থেকে লিভ নিয়ে চলে গেছেন।

তবে যারা এখনও আর্টিকেলটি পড়ছেন, মূলত তাদের উদ্দেশ্যেই এখন কিছু কথা বলবো।

দেখুন, Ludu খেলে ইনকাম কিংবা সাপের গেম খেলে আয় করার বিষয় গুলো কখনোই দীর্ঘস্থায়ী না। এবং এগুলো থেকে আপনি যে পরিমানে ইনকাম করবেন। তার পরিমান কিন্তুু খুবই নগন্য।

যা আপনার কোনো প্রকার কাজে আসবে না। সত্যি বলতে এই পদ্ধতি গুলো Online Income এর কোনো পর্যায়ে পড়ে না।

Extra Tips:
তবে আপনি যদি জানতে চান কিভাবে লুডু গেম খেলে টাকা ইনকাম করা যায়। তাহলে লুডু গেম খেলে টাকা আয় করা নিয়ে আরেকটা আর্টিকেল লিখব।

এছাড়াও যখন আপনি এই পদ্ধতি অবলম্বন করে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চাইবেন ৷ তখন কিন্তুু আপনাকে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, পেমেন্ট না পাওয়া।

হ্যাঁ! এমন অনেক গেমস আছে যেগুলোতে বলা থাকে যে আপনি যদি নিয়মিত গেমস খেলেন ৷ তাহলে মাস শেষে  ১০০০ থেকে ৪০০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

কিন্তুু যখন আপনার উপার্জিত টাকা গুলো Withdraw করতে যাবেন। তখন অনেকেই আপনার প্রাপ্য টাকা প্রদান করবে না। যাকে এক কথায় বলা হয়, বাটপারি।

এই বাটপারি করার মূল কারন হলো, যারা এই গেম গুলো তৈরি করে। তারা কিন্তুু আপনার বা আমার মতো সাধারন একজন মানুষ। আর এই মানুষ গুলো যখন গেম খেলার এই Apps গুলো থেকে ইনকাম করবে।

সেই ইনকাম থেকে কিছু পরিমান অর্থ আপনাকে প্রদান করবে।এখন তারা যদি ইনকাম করতে পারে তাহলে তো আপনাকে পেমেন্ট করবে। কিন্তুু সমস্যা হলো, তারা যখন কোনো প্রকার ইনকাম করতে পারবে না ৷ তাহলে তারা তো নিজের পকেট থেকে আপনাকে টাকা দিতে পারবে না, তাইনা?

তাই এসব টুকিটাকি কাজ করে আয় করার চিন্তাভাবনা আজ থেকে ঝেড়ে ফেলুন। আর কিভাবে অনলাইন ইনকাম করে নিজের একটা সফল ক্যারিয়ার গড়তে পাড়বেন ৷ সে বিষয়ে চিন্তা করা শুরু করে দিন।

আর কিভাবে আপনি গেম খেলে নিজের একটা ভাল ইনকাম করতে পাড়বেন। সে বিষয়ে এখন বিস্তারিত আলোচনা করবো। 

গেম খেলে টাকা আয় করার করার নিয়ম

সবশেষে আমরা জেনে নিবো যে, নিজের সফল ক্যারিয়ার গড়তে হলে এবং গেম খেলে টাকা আয় করার জন্য আপনাকে কি কি নিয়ম মেনে চলতে হবে।

তো আপনার যদি গেমসের প্রতি যথেষ্ট আগ্রহ থাকে। তাহলে আপনার জন্য ইনকাম করার অনেক গুলো উপায় থাকবে। যেমন,

TIPS-1: ইউটিউব গেমিং চ্যানেল থেকে আয়

আপনি যদি ইউটিউবে গিয়ে Gaming Channel লিখে সার্চ করেন। তাহলে সার্চ রেজাল্টে আপনি অনেক গুলো চ্যানেল দেখতে পারবেন। যেগুলো তে শুধুমাত্র গেম প্লে ভিডিও আপলোড করা হয়ে থাকে ৷

এর পাশাপাশি আপনি যদি সেই চ্যানেল এর অনুসারী বা Subscriber এর দিকে তাকান ৷ তাহলে লক্ষ্য করতে পারবেন যে, উক্ত চ্যানেল গুলোতে মিলিয়ন মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। যা দেখা মাত্র আপনি রিতীমত অবাক হয়ে যাবেন।

মূলত এই চ্যানেল গুলোতে বিভিন্ন মাধ্যমে ইনকাম করা যায় ৷ যেমন, সরাসরি ইউটিউব থেকে Google Adsense এর মাধ্যমেও ইনকাম করা যায়। আবার বিভিন্ন স্পন্সরশীপ কিংবা Paid Review এর মাধ্যমেও ইনকাম করা যায়।

এখন আপনিও যদি একজন এক্সপার্ট গেমার হয়ে থাকেন ৷ তাহলে আপনি এমন একটি চ্যানেল খুলতে পারবেন ৷ এবং সেই চ্যানেল থেকে বেশ ভালো পরিমানে ইনকাম করতে পারবেন ৷

PRO TIPS:
কিভাবে একটি Youtube Channel খুলতে হয়। এবং কিভাবে একটি নতুন চ্যানেল এর জনপ্রিয়তার জন্য ইউটিউব এসইও করতে হয়।

সে নিয়ে অলরেডি আমার ওয়েবসাইটে আর্টিকেল পাবলিশ করা আছে। আপনি সেই আর্টিকেল গুলো থেকে ধারনা নিতে পারবেন ৷ 

TIPS-2: গেমিং ব্লগ বা ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করার উপায়

একটা কথা চিন্তা করে দেখুন, যখন নতুন অবস্থায় Freefire কিংবা Pubg এর মতো গেম গুলো রিলিজ হয়েছিলো। তখন কিন্তুু সবাই এই গেম সম্পর্কে ভালোভাবে জানতো না। তারা আসলে বুঝতেই পারেনি যে, কিভাবে এই গেমস গুলো খেলতে হয়।

কিন্তুু প্রশ্ন হলো, যারা গেম প্রিয় মানুষ ৷ তারা আসলে কিভাবে এই নতুন Game গুলো সম্পর্কে জানতে পারে? তো বর্তমানে কি গেম জনপ্রিয়তা পেয়েছে এবং ভবিষ্যতে কোন গেম গুলো রিলিজ হবে ৷ সেই বিষয়গুলো এরা বিভিন্ন ব্লগ বা ওয়েবসাইট অথবা ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে জেনে থাকে।

এখন এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আপনি যদি একটা গেমিং ওয়েবসাইট তৈরি করেন। তাহলে কিন্তুু আপনি অনেকদিক থেকে বেনিফিট পাবেন। 

প্রথমত আপনি কোনো সিঙ্গেল টপিক নিয়ে ব্লগে কাজ শুরু করতে পারবেন। দ্বিতীয়ত আপনি যে অডিয়্যান্সকে টার্গেট করবেন। তারা আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটে আসবে শুধমাত্র গেমস সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানার জন্য।

এর ফলে আপনিও একটা হিউজ পরিমানে অডিয়্যান্সকে টার্গেট করে কাজ করতে পারবেন ৷

কোনো ব্লগ বা ওয়েবসাইটে প্রচুর পরিমানে ভিজিটর নিয়ে আসার জন্য SEO সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হয়। যদি আপনি এসইও সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে এখানে ক্লিক করে SEO সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন

TIPS-3: গেমিং Taster হয়ে ইনকাম 

গেম খেলে ইনকাম করার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হলো, Game Taster হওয়া। এর অর্থ হলো, যখন গেমিং কোম্পানি গুলো নতুন কোনো গেম রিলিজ করে ৷ তখন তাদের তৈরি সেই গেম গুলো দর্শকদের কাছে কেমন লাগছে।

তারা কোনো সমস্যা খুজে পাচ্ছে কিনা। তা দেখার জন্য সেই কোম্পানি গুলো বিভিন্ন লোকদের টাকা দিয়ে দর্শকদের অভিমত সংগ্রহ করে থাকে।

এখন আপনিও যদি এই কাজটি করতে পারেন। তাহলে কিন্তুু আপনাকে কোনো প্রকার শ্রম ব্যয় না করেই বেশ ভালো পরিমানে ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন।

তবে ইনকাম করার জন্য এই কাজটি অনেক সহজ হওয়ার কারনে। উক্ত কাজটি খুজে পেতে আপনাকে বেশ বেগ পোহাতে হবে ৷ কারন এই কাজের প্রতিযোগীতার পরিমান অন্যান্য কাজের তুলনায় অনেক গুন বেশি হয়ে থাকে।

PRO TIPS:
তবে যদি আপনি এই প্রতিযোগীতায় সফলতা পেতে চান। তাহলে সবার আগে আপনাকে গেম সম্পর্কে ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

যেমন, কোন গেমের গ্রাফিক্স কেমন হওয়া ভালো, কোথায় কোন Feature যুক্ত করা উচিত ইত্যাদি বিষয় গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে।]

TIPS-4: গেমিং Tournament থেকে আয়

যেহুতু ফ্রিফায়ার কিংবা পাবজির মতো গেম গুলো এখন পাকাপোক্ত স্খান দখল করতে পেরেছে। সেহুতু এই গেম গুলো খেলার মতো মানুষের কোনো অভাব নেই।

আর এই গেম পাগল মানুষ গুলো বাস্তব জীবনের খেলাধুলার মতো এখানেও বিভিন্ন টুর্নামেন্টের আয়োজন করে থাকে। যেখানে আপনার মতো হাজার হাজার গেম পাগলরা ভিড় করে থাকে।

যদি আপনিও তাদের মতো গেম পাগল হয়ে থাকেন ৷ এবং তাদের মতো গেম খেলে টাকা ইনকাম করতে চান ৷ তাহলে আপনিও এমন টুর্নামেন্ট গুলোতে অংশগ্রহন করতে পারবেন।

আর টুর্নামেন্ট শেষে আপনি বা আপনার দল যদি বিজয় লাভ করে। তাহলে আপনি সেখান থেকে প্রচুর পরিমানে ইনকাম করতে পারবেন।

NOTE: এসব টুর্নামেন্টে অংশগ্রহন করতে হলে আপনাকে শুরুতে কিছু পরিমান অর্থ প্রদান করতে হবে। যাকে বলা হয় Entry Fee.

এখন আপনি যদি প্রো প্লেয়ার না হয়ে থাকেন। তাহলে এসব টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবেন। নাহলে ভালো খেলতে না পারার কারনে আপনার প্রদান করা এন্ট্রি ফি এর সম্পূর্নটাই জলে ভেসে যাবে। 

আমাদের শেষকথা 

দেখুন, আজকের আর্টিকেলে আমি গেম খেলে টাকা আয় করার যে টিপস এন্ড ট্রিকস রয়েছে। তা সম্পূর্ন আলোচনা করার চেস্টা করেছি।

এছাড়াও গেম খেলে টাকা আয় করার কিছু উপায় সম্পর্কেও বিস্তারিত বলার চেস্টা করেছি। তবে কিছু কিছু গেম খেলে টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট নিতে পারবেন।

এরপরেও আপনার কোনো সমস্যা থাকলে কমেন্ট করে জানাবেন ৷ আমি আপনার মূল্যবান কমেন্টের অপেক্ষায় থাকবো। আর এমন সব নতুন টিপস পেতে চাইলে ইনফো পোর্টাল বিডি ব্লগের সাথে থাকবেন ৷ ধন্যবাদ 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top