ইমিগ্রেশন হল এক দেশের থেকে অন্য দেশের মধ্যে বসবাসের জন্য স্থানান্তরিত হওয়ার একটি প্রক্রিয়া। তবে এটি খুব সহজ বিষয় না।
আসলে এই কাজ একটি কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হয়ে থাকে। বাংলাদেশে, ইমিগ্রেশন একটি ক্রমবর্ধমান প্রক্তিয়া যা অনেক আগে থেকে চলমান হয়ে আরছে।
অনেক বাংলাদেশী মানুষেরা বেশি টাকা ইনকাম, উন্নত শিক্ষার সুযোগ বা রাজনৈতিক স্বাধীনতার জন্য অন্য দেশে বসবাস করার স্বপ্ন দেখেন।
হ্যালোও রিডার ইনফো পোর্টাল বিডি ব্লগসাইটের আজকের আর্টিকেল ইমিগ্রেশন কি নিয়ে আর্টিকেলে আপনাকে স্বাগতম।
আজকের এই আর্টিকেলে আপনি জানতে পারবেন, ইমিগ্রেশন মানে কি, কেন ইমিগ্রেশন করে এবং ইমিগ্রেশন এর সময় কি দেখাতে হয়।
তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক আসলে Immigration mane ki (ইমিগ্রেশন বলতে কী বোঝায়) এর আদ্য-পদ্যর সকল বিস্তারিত তথ্য সম্পর্কে।
ইমিগ্রেশন কি (What is Immigration In bengali)
বাংলাদেশের অনেক মানুষ অন্য দেশে বসবাস করার স্বপ্ন দেখেন। তাদের স্বপ্নের পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে, যেমন অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা, উন্নত শিক্ষার সুযোগ বা রাজনৈতিক স্বাধীনতা।
তবে আর ইমিগ্রেশন এর মানে হল এক দেশের থেকে অন্য দেশের মধ্যে বসবাসের জন্য স্থানান্তরিত হওয়ার একটি প্রক্তিয়া।
ইমিগ্রেশনের সিদ্ধান্তটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। আর এই সিদ্ধান্তটি একটি নতুন জীবনের শুরু হতে পারে, তবে এটি একটি চ্যালেঞ্জিং পথও হতে পারে।
আপনাকে ইমিগ্রেশনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে, আপনার গন্তব্যের দেশ সম্পর্কে ভাল করে গবেষণা করা এবং আপনার সুবিধা এবং অসুবিধাগুলির দিক গুলা বিবেচনা করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
ইমিগ্রেশনের উদাহরণ,
একজন বাংলাদেশী ছাত্র অথবা ছাত্রী যিনি কিনা যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা চান। তাহলে তাকে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
সে জন্য প্রথমে সেই দেশের ভাষা সম্পর্কে ভাল-ভাবে জেনে একটি শিক্ষা ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের একটি স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে হবে।
আর এইভাবে একবার তিনি তার ভিসা পেলে, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন এবং তার পড়াশোনা শুরু করতে পারবেন।
[ছোট নোট ; শিক্ষা ভিসা ছাড়াও আরো অনেক রকমের ভিসা রয়েছে। এখানে উদাহরণের সুবিধার জন্য আমি শিক্ষা ভিসার কথা বলেছি]
আশা করি Immigration কি বা ইমিগ্রেশন মানে কি আপনি বুঝতে পেরেছেন। এবার চলুন জেনে নেয় ইমিগ্রেশন বা অভিবাসন নিয়ে আর কিছু দরকারি তথ্য।
যা ইমিগ্রেশন সম্পর্কে আপনাকে সম্পূর্ণ ধারণা প্রদান করবে।
কেন ইমিগ্রেশন করে (Whay do Immigration)
আমি ইতি মধ্যে বলেছি বিদেশে উন্নত শিক্ষা এবং উন্নত জীবনযাপন করার জন্য অনেক মানুষ নিজ দেশ ছেড়ে অন্য কোন দেশে পারি জমায়।
আবার অনেকেই নানাবিদ কারণে ইমিগ্রেশন করে থাকে। আমি নিচে কিছু কারণ উল্লেখ করে দিচ্ছি যে কারনে ইমিগ্রেশন করে থাকে।
- ইনকাম বৃদ্ধি : অনেক মানুষ অর্থনৈতিক সুযোগের জন্য ইমিগ্রেশন করে। বেশি আয়, নিম্ন বেকারত্ব, এবং ভাল শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবা সুবিধার দেশগুলিতে ইমিগ্রেশনের জন্য লোকেরা আবেদন করে।
- রাজনৈতিক কারণে: রাজনৈতিক অস্থিরতা বা নিপীড়ন থেকে পালিয়ে অনেক মানুষ ইমিগ্রেশন করে থাকে। তারা এমন দেশে চলে যায় যেখানে তারা নিরাপত্তায় থাকতে পারে।
- পরিবার ও বন্ধুদের সাথে থাকার জন্য: অনেক মানুষ পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে থাকার জন্য ইমিগ্রেশন করে। তারা এমন দেশে চলে যায় যেখানে তাদের প্রিয়জনরা থাকে।
- সংস্কৃতি ও জীবনধারা পরিবর্তন: কিছু লোক নতুন সংস্কৃতি এবং জীবনধারা অভিজ্ঞতা অর্জন করার জন্য ইমিগ্রেশন করে। তারা এমন দেশে চলে যায় যেখানে তারা ভিন্ন ভাষা, খাবার উপভোগ করতে পারে।
ইমিগ্রেশনের কারণগুলি দেশ এবং ব্যক্তির উপর নির্ভর করে নানা রকম হয়ে থাকে। আমার দেওয়া উপরের কারণগুলি বিশ্বজুড়ে ইমিগ্রেশনের সবচেয়ে উল্লেখ্যযুগ্য কারণগুলির মধ্যে রয়েছে।
ইমিগ্রেশনে কি কি লাগে?
আপনি যদি অন্য কোন দেশে যেতে চান তার আগে আপনাকে ইমিগ্রেশনে সিস্টেম পার করে আপনাকে প্রবেশ করতে হবে। কিন্তু তার আগে আপনাকে জানতে হবে ইমিগ্রেশনে কি কি লাগে?
আপনি যদি ইমিগ্রেশনে কি কি লাগে না জেনেই বিমানবন্দরে চলে যান তাহলে দেখা যাবে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রের জন্য আবার ফেরত আসবে হবে।
পাসপোর্ট: যাত্রীর পাসপোর্ট অবশ্যই বৈধ হতে হবে এবং ভ্রমণের নির্ধারিত তারিখের পরবর্তী 6 মাসের জন্য মেয়াদ থাকতে হবে।
যাত্রীর প্রয়োজনীয় ভ্যালিড ভিসা থাকতে হবে। যাত্রীর ভ্রমণ সংক্রান্ত অন্যান্য কাগজপত্র, যেমন বিমানের টিকিট, হোটেল বুকিং এবং ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর প্রয়োজন হতে পারে।
ভ্যালিড পাসপোর্ট লাগবে
পাসপোর্ট হলো একটি আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় একটি সরকারি নথি বা লাইসেন্স বলা যায় । পাসপোর্টে যাত্রীর নাম, জন্ম তারিখ, ছবি, এবং অন্যান্য পরিচয়গত তথ্য থাকে।
পাসপোর্টের মেয়াদ সাধারণত ৫-১০ বছরের জন্য হয়। তবে আপনি যদি অন্য কোন দেশে যেতে চান তাহলে আপনার পাসপোর্টের কমপক্ষে ৬ মাসের ভ্যালিড মেয়াদ থাকতে হবে।
অরিজিনাল ভিসা
ভিসা হলো একটি সরকারি অনুমোদন যা একজন ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট দেশে প্রবেশ করার এবং নির্দিষ্ট সময়ের জন্য থাকার অনুমতি প্রদান করে থাকে।
ভিসার প্রয়োজনীয়তা দেশভেদে ভিন্ন হতে পারে। কিছু কিছু দেশে, পর্যটকদের জন্য ভিসার প্রয়োজন হয় না, তবে ব্যবসায়িক ভ্রমণকারীদের ভিসার প্রয়োজন হয়।
অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
কিছু ক্ষেত্রে, ইমিগ্রেশন অফিসার অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখতে চাইবে। যেগুলা আপনি যদি সঠিকভাবে দিতে না পারেন তাহলে আপনাকে রিটার্ন করে দেওয়া হবে।
ইমিগ্রেশন অফিসার যে কাগজগুলা দেখতে পারে তা হল;
- বিমানের টিকিট: যাত্রীর বিমানের টিকিট ইমিগ্রেশন অফিসারকে দেখাতে হবে।
- হোটেল বুকিং: যাত্রীর হোটেল বুকিং ইমিগ্রেশন অফিসারকে দেখাতে হবে।
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট : যাত্রীর অর্থনৈতিক ব্যাংক স্টেটমেন্ট ইমিগ্রেশন অফিসারকে দেখাতে হবে।
ইমিগ্রেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া যা যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়তা করে। ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে যাত্রীরা ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়াকে আরো সহজ করতে সাহায্য করবে।
ইমিগ্রেশনে কি কি চেক করা হয়?
ইমিগ্রেশনে যাত্রীর পাসপোর্ট, ভিসা, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই করা হয়। এছাড়াও, যাত্রীর পরিচয়, ভ্রমণের উদ্দেশ্য, এবং স্থায়ী ঠিকানা যাচাই করা হয়।
ইমিগ্রেশনে যা যা চেক করা হয়:
- পাসপোর্ট: যাত্রীর পাসপোর্টের মেয়াদ, ভিসার বৈধতা, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য যাচাই করা হয়।
- ভিসা: যাত্রীর ভিসার বৈধতা, প্রবেশের অনুমতি, এবং অন্যান্য তথ্য যাচাই করা হয়।
- অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: যাত্রীর ভ্রমণ সংক্রান্ত অন্যান্য কাগজপত্র, যেমন বিমানের টিকিট, হোটেল বুকিং এবং ব্যাংক স্টেটমেন্ট যাচাই করা হয়।
- পরিচয়: যাত্রীর পরিচয় যাচাই করা হয়, যেমন নাম, জন্ম তারিখ, এবং পাসপোর্ট নম্বর।
- ভ্রমণের উদ্দেশ্য: যাত্রীর ভ্রমণের উদ্দেশ্য যাচাই করা হয়, যেমন পর্যটন, ব্যবসা, বা অভিবাসন।
- স্থায়ী ঠিকানা: যাত্রীর স্থায়ী ঠিকানা যাচাই করা হয়, যেমন বর্তমান ঠিকানা এবং ভ্রমণের উদ্দেশ্য অনুসারে নতুন ঠিকানা যাচাই করা হয়।
তবে ইমিগ্রেশনে যাওয়ার আগে যা যা করণীয় তার মধ্যে দরকারি বিষয়গুলা দেখে নিবেন। তার কিছু উদাহরণ আমি নিচে দিয়ে দিচ্ছি যা আপনাকে সাহায্য করবে।
- ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে আপনার ভ্রমণ গন্তব্যের দেশের সরকারী ওয়েবসাইট থেকে তথ্য জেনেনীন।
- আপনার ভ্রমণ গন্তব্যের দেশে প্রবেশের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত কাগজপত্র সংগ্রহ করুন।
- আপনার পাসপোর্ট এবং ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে কিনা তা চ্যাক করুন।
- দেশে প্রবেশের উদ্দেশ্য স্পষ্ট করে বলতে হবে এবং প্রয়োজনীয় প্রমাণ প্রদান করতে হবে।
- ইমিগ্রেশন অফিসারের নির্দেশাবলী অনুসরণ করতে হবে এবং তাদের প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দিতে হবে।
মূলত এই সকল বিষয়গুলা ইমিগ্রেশন অফিসার বিমানবন্দর এবং আরো কিছু স্থানে যাচাই-বাছাই করা হয়। তার আগে আপনাকে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
ইমিগ্রেশন কত প্রকার (types Of Immgation)
ইমিগ্রেশন হল এমন একটি প্রক্রিয়া যা একটি দেশ থেকে অন্য একটি দেশে বিভিন্ন কারণে যাওয়া লাগে। ইমিগ্রেশনের কিছু প্রকার আছে, যেগুলির প্রত্যেকটির নিজস্ব বৈশিষ্ট্য এবং উদ্দেশ্য আছে।
চলুন ইমিগ্রেশনের প্রকার গুলা জেনে নেয়:
Economic Immigration
অর্থনৈতিক ইমিগ্রেশন (Economic Immigration) হলো এক দেশ থেকে অন্য দেশে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য চলে যাওয়ার প্রক্রিয়া, যা উচ্চতর জীবনমানের সন্ধানে করা হয়।
অর্থনৈতিক ইমিগ্রেশনের মধ্যে দক্ষ কর্মী, বিনিয়োগকারী, উদ্যোক্তা এবং গন্তব্য দেশে নির্দিষ্ট কাজের জন্য হয়।
Family Reunification Immigration
পরিবার পুনর্মিলন (Family Reunification) হল এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি অন্য দেশে বসবাসকারী তার নিকট আত্মীয়দের সাথে একসাথে বসবাসের জন্য ইমিগ্রেশন করতে পারে।
এটি ইমিগ্রেশনের একটি সাধারণ কারণ, কারণ এটি পরিবারকে একসাথে থাকতে সাহায্য করে।
পরিবার পুনর্মিলনের জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিসা রয়েছে, এবং যোগ্যতা প্রয়োজনীয়তা দেশভেদে ভিন্ন হতে পারে। তবে, বেশিরভাগ দেশ স্বামী-স্ত্রী, সন্তান এবং বাবা-মা সহ নিকট আত্মীয়দের ইমিগ্রেশন করতে দেয়।
Refugee and Asylum Immigration
শরণার্থী ও আশ্রয় ইমিগ্রেশন (Refugee and Asylum Immigration) হল এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে নিজ দেশে নিপীড়ন বা সংঘাত থেকে পালিয়ে আসা ব্যক্তিরা অন্য দেশে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করে।
- Refugee বলতে এমন ব্যক্তিদের বোঝায় যারা জাতি, ধর্ম, জাতীয়তা, নির্দিষ্ট সামাজিক গোষ্ঠীর সদস্যপদ বা রাজনৈতিক মতামতের কারণে নিপীড়নের যুক্তিসঙ্গত ভয়ের কারণে তাদের নিজ দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
- Asylum বলতে এমন ব্যক্তিদের বোঝায় যারা তাদের নিজ দেশ থেকে পালিয়ে গেছে এবং নিপীড়ন থেকে আশ্রয় চাইছে, তবে তাদের শরণার্থীর মর্যাদা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।
শরণার্থীর মর্যাদা বা আশ্রয়ের আবেদন করার জন্য, ব্যক্তিদের সাধারণত একটি আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
এই প্রক্রিয়াটিতে অভিবাসন কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাৎ, চিকিৎসা পরীক্ষা এবং নিরাপত্তা পরীক্ষা জড়িত থাকতে পারে।
Humanitarian Immigration
মানবিক ইমিগ্রেশন (Humanitarian Immigration) হল এমন একটি ধরণের অভিবাসন যা মানবিক প্রয়োজনের ভিত্তিতে ব্যক্তিদের দেওয়া হয়।
এর মধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার, জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন এমন ব্যক্তি বা ব্যতিক্রমী পরিস্থিতির সম্মুখীন ব্যক্তিরা অন্তর্ভুক্ত থাকে।
Student Immigration
Student Immigration হল এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী অন্য দেশে শিক্ষার জন্য স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য চলে যায়।
ছাত্র ইমিগ্রেশন এর জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিসা রয়েছে, এবং যোগ্যতা প্রয়োজনীয়তা দেশভেদে ভিন্ন হতে পারে। তবে, বেশিরভাগ দেশ উচ্চ বিদ্যালয়, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের ভিসা দেয়।
ছাত্র ইমিগ্রেশন এর আবেদন করার জন্য, শিক্ষার্থীদের সাধারণত নিম্নলিখিত প্রয়োজনীয়তাগুলি পূরণ করতে হবে:
- একটি বৈধ পাসপোর্ট এবং ভিসা
- ব্যাংক স্টেট্মেন্ট
- ভাষা দক্ষতা
- স্বাস্থ্য পরীক্ষা
- শিক্ষাগত যোগ্যতা
Illegal Immigration
অবৈধ ইমিগ্রেশন (Illegal Immigration) হল এমন কাজ যেখানে একজন ব্যক্তি কোনও আইনি অনুমতি ছাড়াই একটি দেশে প্রবেশ করে বা বসবাস করে। অবৈধ অভিবাসীরা নির্বাসন, জরিমানা এবং অন্যান্য শাস্তির সম্মুখীন হতে পারে।
অবৈধ ইমিগ্রেশন এর অনেক কারণ রয়েছে। কিছু লোক তাদের নিজ দেশে সহিংসতা বা নিপীড়ন থেকে পালিয়ে অবৈধ অভিবাসন করে।
Investor Immigration
Investor Immigration প্রোগ্রামগুলি এমন ব্যক্তিদের ভিসা বা বসবাসের অনুমতি দেয় যারা একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে একটি বিদেশী দেশে।
ইনভেস্টর ইমিগ্রেশন প্রোগ্রামের নির্দিষ্ট প্রয়োজনীয়তা দেশভেদে ভিন্ন হতে পারে, তবে সাধারণত নিম্নলিখিতগুলি অন্তর্ভুক্ত থাকে:
- দেশে একটি উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ করা
- চাকরি সৃষ্টি করা
- ভাষা দক্ষতা বা ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা মতো অন্যান্য নির্দিষ্ট প্রয়োজনীয়তা পূরণ করা
ইনভেস্টর ইমিগ্রেশন প্রোগ্রামগুলি বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং চাকরি তৈরি করার জন্য করা হয়েছে।
Marriage Immigration
ম্যারিজ ইমিগ্রেশন হল এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি বিবাহের মাধ্যমে অন্য দেশে বসবাসের অনুমতি অর্জন করে।
এই প্রক্রিয়াটি বিভিন্ন দেশে ভিন্ন হতে পারে, তবে সাধারণত এটি নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি জড়িত:
- বিবাহ: প্রথম পদক্ষেপ হল বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া। এই বিবাহটি অবশ্যই আইনি হতে হবে এবং বিদেশী দেশে স্বীকৃত হতে হবে।
- ভিসা আবেদন: দ্বিতীয় পদক্ষেপ হল ভিসা আবেদন করা। এই আবেদনে বিবাহের প্রমাণ, ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র থাকতে হবে।
- ভিসা অনুমোদন: তৃতীয় পদক্ষেপ হল ভিসা অনুমোদন। যদি আবেদনটি অনুমোদিত হয়, তবে ব্যক্তিটিকে অন্য দেশে বসবাস এবং কাজ করার অনুমতি দেওয়া হবে।
ম্যারিজ ইমিগ্রেশন একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি যা মানুষ তাদের প্রেমিক বা স্বামী/স্ত্রীকে অন্য দেশে এক সাথে থাকার অনুমোদন দেয়।
Emigrant এবং Immigrant এর মধ্যে পার্থক্য
Emigrant এবং Immigrant দুটি ইংরেজি শব্দ যা অভিবাসন প্রক্রিয়াকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
Emigrant হল এমন একজন ব্যক্তি যিনি তার নিজ দেশ ছেড়ে অন্য দেশে বসবাসের জন্য চলে যায়। আর Immigrant হল এমন একজন ব্যক্তি যিনি অন্য দেশে বসবাসের জন্য চলে যায়।
এই দুটি শব্দের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হল যে Emigrant হল সেই ব্যক্তির দৃষ্টিকোণ থেকে শব্দটি ব্যবহার করা হয় যিনি তাদের নিজ দেশ ছেড়ে যায়, যখন Immigrant হল সেই ব্যক্তির দৃষ্টিকোণ থেকে শব্দটি ব্যবহার করা হয় যিনি অন্য দেশে চলে আসে।
বৈধ ইমিগ্রেশন স্ট্যাটাস কি
বৈধ ইমিগ্রেশন স্ট্যাটাস হল এমন একটি অবস্থা যা একজন ব্যক্তির একটি নির্দিষ্ট দেশে বসবাস এবং কাজ করার আইনি অনুমতি দেয়।
বৈধ ইমিগ্রেশন স্ট্যাটাস অর্জনের জন্য, ব্যক্তিদের অবশ্যই নির্দিষ্ট প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে হবে, যেমন একটি ভিসা বা বসবাসের অনুমতি পেতে।
বৈধ ইমিগ্রেশন স্ট্যাটাসের অনেক সুবিধা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
- একটি নির্দিষ্ট দেশে বসবাস এবং কাজ করার অধিকার
- শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য সামাজিক সুবিধাগুলিতে অ্যাক্সেস
- আইনি সুরক্ষা
Faqs
ইমিগ্রেশন অর্থ কি
ইংরেজিতে, ইমিগ্রেশনকে “immigration” বলা হয়। এই শব্দটি এসেছে লাতিন শব্দ “immigro” থেকে, যার অর্থ “এক দেশে থেকে অন্য দেশে চলে যাওয়া”।
অভিবাসীর সংজ্ঞা কী?
অভিবাসী হল এমন একজন ব্যক্তি যিনি অন্য দেশে বসবাসের জন্য চলে যায়।
ইমিগ্রেশন কার্ড কি?
ইমিগ্রেশন কার্ড হল একটি কাগজপত্র যা একজন ব্যক্তির একটি নির্দিষ্ট দেশে বসবাস এবং কাজ করার আইনি অনুমতি প্রদান করে। ইমিগ্রেশন কার্ডগুলি বিভিন্ন নামে পরিচিত হতে পারে, যেমন গ্রিন কার্ড, স্থায়ী বসবাসের ভিসা বা স্থায়ী বসবাসের অনুমতি।
অভিবাসন প্রক্রিয়াটি কী?
অভিবাসন প্রক্রিয়াটি বিভিন্ন দেশে ভিন্ন হতে পারে। সাধারণত, আবেদনকারীদের অবশ্যই নির্দিষ্ট প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে হবে, যেমন একটি ভিসা বা বসবাসের অনুমতি পেতে।
ইমিগ্রেশন নিয়ে আমাদের শেষ কথা
ইমিগ্রেশন আলোচনা থেকে আপনি ইমিগ্রেশন নিয়ে কিছু জানতে পেরেছেন। সেই সাথে আরোও অনেক তথ্য নিয়ে লিখেছি। এর পর আপনার যদি ইমিগ্রেশন নিয়ে কোন প্রশ্ন থাকে।
তাহলে এই ব্লগের কমেন্ট সেকশনে কমেন্ট করুন। আমাদের ব্লগে এ ছাড়াও আরেক অনেক লেখা আছে যা আপনার জন্য অনেক দরকারি হবে,