অনলাইন মার্কেটিং কি (What is online marketing) : যদি আমি এই বিষয়টি কে খুব সহজ ভাষায় বোঝাতে চাই বা জানাতে চাই অনলাইন মার্কেটিং কী, Internet Marketing কি?
তাহলে আমি আপনাকে বলবো যে, অনলাইন এর মাধ্যমে আপনি আপনার নিজস্ব কোন প্রোডাক্ট এর প্রচার করার পদ্ধতিকে বলা হয়ে থাকে, অনলাইন মার্কেটিং।
আর বর্তমান সময়ে অনলাইন মার্কেটিং হল সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। যে মাধ্যমটি কে এখন বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠান গুলো অনুসরণ করে আসছে।
কারণ আজকের দিনে অনলাইন প্লাটফর্ম এ ব্যাপক পরিমাণে একটিভ ইউজার রয়েছে। আর এত বেশি ইউজার এর মধ্যে নিজের কোন প্রোডাক্ট কে প্রচার করার জন্য অনলাইন মার্কেটিং হল সবচেয়ে উপকারী একটি পদ্ধতি।
তবে অনলাইন মার্কেটিং করার আগে অবশ্যই আপনাকে এই online marketing কি বা অনলাইন মার্কেটিং করার উপায় গুলো সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।
কারণ আপনি যদি শুধুমাত্র অনলাইন মার্কেটিং কি (What is online marketing in Bengali) – সে সম্পর্কে ধারণা নেয়ার পরে। অনলাইনের বিভিন্ন প্লাটফর্মে মার্কেটিং করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েন।
তাহলে কিন্তু আপনার সফলতা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যাবে। কিন্তু আপনি যদি এই অনলাইন মার্কেটিং এর সমস্ত বিষয় গুলো জানার পরে এই মার্কেটিং এর কাজটি শুরু করেন।
তাহলে কিন্তু আপনাকে অনলাইন মার্কেটিং এর সফলতা পাওয়ার সম্ভাবনা কয়েক গুণ বেড়ে যাবে। আর আজকের এই আর্টিকেলে আমি অনলাইন মার্কেটিং করার উপায় গুলো নিয়ে পূর্ণাঙ্গভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করব।
প্রথমত আমি আপনাকে ধারনা দেয়ার চেষ্টা করব যে, অনলাইন মার্কেটিং কি (Online Marketing কি)। এর পরবর্তীতে আপনি অনলাইন মার্কেটিং সম্পর্কে আরও অনেক অজানা বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন। যেমন,
- অনলাইন মার্কেটিং সাইট কোন গুলো ?
- অনলাইন মার্কেটিং এর সুবিধা কি কি ?
- অনলাইন বিজনেস কাকে বলে ?
- অনলাইন মার্কেটিং কিভাবে পরিচালিত হয় ?
- অনলাইন মার্কেটিং কৌশল গুলো কি কি ?
- বেস্ট অনলাইন মার্কেটিং কোনটি ?
- অনলাইন মার্কেটিং এর গুরুত্ব কি ?
- অনলাইন মার্কেটিং কাকে বলে ?
আর আপনি যদি অনলাইন মার্কেটিং সম্পর্কিত এইসব অজানা বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে চান। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল টি আপনার জন্য অনেক বেশি হেল্পফুল হবে।
তাই চেষ্টা করবেন আজকের পুরো আর্টিকেল টি মনোযোগ সহকারে পড়ার। যদি আপনি আজকের এই আর্টিকেল টি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন।
তাহলে আমার বিশ্বাস যে, অনলাইন মার্কেটিং সম্পর্কিত কোনো অজানা বিষয় আপনার মধ্যে থাকবে না।
অনলাইন মার্কেটিং কি বা অনলাইন মার্কেটিং কাকে বলে ?
সবার শুরুতেই আপনাকে জেনে নিতে হবে যে, অনলাইন মার্কেটিং কি (Online Marketing ki). তবে এই বিষয়টি আপনি আরও সহজ ভাবে বুঝবেন।
যখন আপনি জানতে পারবেন যে, মার্কেটিং কাকে বলে। সহজ ভাবে বলতে গেলে যখন কোন পণ্যের প্রচার করা হয়। তখন তাকে বলা হয়ে থাকে মার্কেটিং।
যেমন ধরুন, আপনার নিজস্ব কোন প্রোডাক্ট আছে। এবং আপনার সেই প্রোডাক্ট সম্পর্কে মানুষ খুব একটা পরিচিত নয়। এখন আপনি আপনার সেই প্রোডাক্ট সম্পর্কে মানুষের সামনে প্রচার করলেন।
এবং সেই প্রোডাক্ট এর পরিচিতি বৃদ্ধি করলেন। মূলত এই পরিচিতি বৃদ্ধি করার প্রক্রিয়া কে বলা হয়ে থাকে, মার্কেটিং। মার্কেটিং কাকে বলে- এতক্ষণ আপনি সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
তো এখন আপনাকে জেনে নিতে হবে যে, অনলাইন মার্কেটিং কি। সহজ কথায় বলতে গেলে এই মার্কেটিং করার পদ্ধতিটি আপনি যখন অনলাইন এর মাধ্যমে সম্পন্ন করবেন। তখন তাকে বলা হয়ে থাকবে, অনলাইন মার্কেটিং।
যেমন ধরুন আপনি আপনার কোন প্রোডাক্ট সম্পর্কে মানুষের কাছে পরিচিতি বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের অনলাইন প্লাটফর্ম কে নির্বাচিত করলেন। এবং সেখানে আপনার পণ্যের প্রচার করলেন।
মূলত এই অনলাইন প্লাটফর্মে আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে প্রচার করার প্রক্রিয়া কে বলা হয়ে থাকে, অনলাইন মার্কেটিং।
কেন অনলাইন মার্কেটিং করব ?
উপরের আলোচনা থেকে অনলাইন মার্কেটিং কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানার পর। এখন আপনার মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে।
আর সেই প্রশ্নটা হল যে, কেন আপনি অনলাইন মার্কেটিং করবেন। মূলত আপনি যদি আপনার প্রোডাক্ট এর প্রচার করার জন্য অনলাইন মার্কেটিং করেন।
তাহলে কিন্তু আপনি বিশেষ কিছু দিক দিয়ে সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। চলুন এবার সেই সুবিধা জনক দিক গুলো সম্পর্কে ধাপে ধাপে জেনে নেওয়া যাক।
এবং এই দিক গুলো জানার পর আপনিও বুঝতে পারবেন যে, বর্তমান সময়ে কেন অনলাইন মার্কেটিং করা উচিত।
- আপনি হয়তো জেনে থাকবেন যে, বর্তমান সময়ে প্রচুর পরিমাণে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে। যে কারণে আপনি যদি অনলাইন মার্কেটিং করেন। তাহলে আপনি একই সাথে ব্যাপক পরিমান ভিজিটর পেয়ে যাবেন।
- আপনি আপনার প্রোডাক্ট এর জন্য স্পেসিফিক মানুষের নিকট প্রচার করতে পারবেন। যেমন ধরুন, আপনার প্রোডাক্ট যদি মেয়েদের প্রসাধনী হয়ে থাকে। তাহলে আপনি শুধুমাত্র মেয়েদের নিকট আপনার সেই প্রসাধনীর প্রচার করতে পারবেন।
- সবচেয়ে অবাক করার মত বিষয় হলো যে, আপনার প্রচার করা পণ্য সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ কেমন। সেটা আপনি খুব সহজেই অনলাইন মার্কেটিং এর মাধ্যমে বুঝতে পারবেন।
- অনলাইন মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে আপনি আপনার প্রোডাক্ট এর যেসব গুনাগুন রয়েছে। সেগুলো খুব সহজেই অধিক সংখ্যক মানুষের কাছে প্রচার করতে পারবেন।
- অনলাইন মার্কেটিং করার সবচেয়ে বড় একটি সুবিধা হল আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে প্রচার করার সময় মানুষ সহজ আপনার পণ্য সম্পর্কে কি কি ফিডব্যাক দিচ্ছে। তা আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারবেন।
তো আপনার মনে যদি এই প্রশ্নটি জেগে থাকে যে, কেন আপনার অনলাইন মার্কেটিং করা উচিত। তাহলে এসব কারণের জন্য অবশ্যই আপনার অনলাইন মার্কেটিং করা উচিত।
আর অনলাইন মার্কেটিং এর মধ্যে যেসব সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। সেগুলো আপনি কোনো ভাবেই অফলাইন মার্কেটিংয়ে করতে পারবেন না। এর জন্য অবশ্যই আপনাকে অনলাইন মার্কেটিং এর দ্বারস্থ হতে হবে।
কিভাবে অনলাইনে মার্কেটিং করব ?
উপরের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা থেকে আপনি জানতে পারলেন যে, অনলাইন মার্কেটিং কি (Online Marketing কি)। এবং কেন আপনার অনলাইন মার্কেটিং করা উচিত।
তো আশা করি উপরের আলোচনা গুলো থেকে আপনি অনলাইন মার্কেটিং সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। ।
এখন আপনাকে মূল বিষয়টি জেনে নিতে হবে, সেটি হল যে কিভাবে আপনি অনলাইন মার্কেটিং করবেন বা অনলাইন মার্কেটিং কিভাবে পরিচালিত হয় ? আর বেস্ট অনলাইন মার্কেটিং কি ?
আর এই বিষয় টি নিয়ে আলোচনা করার আগে আপনাকে বলে রাখি যে। অনলাইন মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম কে বেছে নিতে হবে।
যখন আপনি অন্যান্য বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম কে বেছে নিবেন। তখন আপনাকে এই মার্কেটিং করার কাজ পরিচালিত করতে হবে । তবে যখন আপনি এই অনলাইন মার্কেটিং শুরু করবেন। তখন অবশ্যই আপনাকে বিশেষ ভাবে বিবেচনা করতে হবে।
যে আপনি আসলে যে প্রোডাক্ট এর মার্কেটিং করতে চান। সেই প্রোডাক্ট গুলো কোন অনলাইন প্লাটফর্ম এর জন্য উপযুক্ত বা অনলাইন মার্কেটিং সাইট কোন গুলা। সেটি আপনাকে পূর্বেই বিশেষ ভাবে বিবেচনা করে নিতে হবে।
এবার আমি আপনাকে বেশ কিছু প্ল্যাটফর্ম এর সাথে পরিচয় করিয়ে দিব। যেখানে আপনি আপনার প্রোডাক্টের অনলাইন মার্কেটিং করতে পারবেন।
চলুন এবার তাহলে সেই অনলাইন মার্কেটিং করার প্লাটফর্ম, অনলাইন মার্কেটিং এর গুরুত্ব গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।
ফেসবুকর মাধ্যমে মার্কেটিং (Facebook Marketing)
বর্তমান সময়ে ফেসবুক হল গোটা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি সামাজিক যোগাযোগ করার মাধ্যম। আর অবাক করার মত বিষয় হলো আমাদের বাংলাদেশের প্রায় কয়েক কোটি মানুষের এক বা একাধিক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রয়েছে।
তবে আপনি যদি মার্কেটিং করার জন্য ফেসবুক নামক এই সোশ্যাল মিডিয়া কে বেছে নেন। তাহলে কিন্তু অবশ্যই আপনাকে আপনার প্রোডাক্ট রিলেটেড গ্রাফিক ডিজাইন এর দিকে অনেকটা খেয়াল রাখতে হবে।
কেননা যারা ফেসবুক ব্যবহার করে, তারা ফেসবুকের মধ্যে থাকা নিউজ ফিড প্রতিনিয়ত স্ক্রল করে। আর আপনি যদি গ্রাফিক এর মাধ্যমে আপনার প্রোডাক্ট কে আকর্ষণীয় করে তুলতে পারেন।
তাহলে আপনি অনেক ভালো একটা অডিয়েন্স কে টার্গেট করে নিতে পারবেন। আর যখন আপনি আমাদের বাংলাদেশ কে টার্গেট করে কোন প্রোডাক্ট এর অনলাইন মার্কেটিং করবেন।
তখন অবশ্যই আপনি ফেসবুক মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে দুইটি অপশন দেখতে পারবেন। প্রথম টি হলো আপনি আপনার প্রোডাক্ট এর পিকচার আকারে মার্কেটিং করতে পারবেন।
এবং দ্বিতীয় অপশনটি হলো আপনি আপনার প্রোডাক্টের ভিডিও আকারে মার্কেটিং করতে পারবেন।
কিন্তু আমাদের বাংলাদেশের জন্য মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে আপনার ভিডিও এর মাধ্যমে প্রোডাক্ট মার্কেটিং করার পাশাপাশি। আপনি প্রোডাক্টের পিকচার মার্কেটিং এর দিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিবেন।
কারণ যখন আমরা ফেসবুক ব্যবহার করি এবং আমাদের ফেসবুকের নিউজফিড স্ক্রল করি। তখন আমাদের সামনে বিভিন্ন রকমের বিজ্ঞাপন আসে। আমরা কিন্তু সেই বিজ্ঞাপন গুলোর দিকে অধিকাংশ সময় নজর দেই।
যেসব বিজ্ঞাপনের পিকচার দেওয়া থাকে। কারণ কোন বিজ্ঞাপন যদি ভিডিও আকারে পাবলিশ করা হয়। তখন আমরা অনেকেই সেই বিজ্ঞাপনে ক্লিক করতে চাই না।
অথচ যখন আমাদের নিউজ ফিডে পিকচার আকারে কোনো বিজ্ঞাপন আসে। তখন আমরা কিছু সময়ের জন্য উক্ত বিজ্ঞাপনের মধ্যে দেখার চেষ্টা করি সেই বিজ্ঞাপন টি আসলে কোন প্রোডাক্ট কে নিয়ে প্রচার করা হয়েছে।
ইউটিউব এর মাধ্যমে মার্কেটিং (Youtube Marketing)
বর্তমান সময়ে ক্রমাগত ভাবে অনলাইন মার্কেটিং করার জন্য ইউটিউব প্ল্যাটফর্ম বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। যদি আপনি আমাদের বাংলাদেশের কথা চিন্তা করে দেখেন।
তাহলে আপনি দেখতে পারবেন যে, আমাদের বাংলাদেশের ফেসবুক মার্কেটিং এর পরেই যে প্লাটফর্ম এর নাম উঠে আসবে, সেটি হল ইউটিউব।
আর অনেক অনলাইন মার্কেটিং করা ব্যক্তিদের মতামত যে, একটা সময় আসবে যখন ফেসবুক মার্কেটিং এর তুলনায় ইউটিউব মার্কেটিং আরো অধিক পরিমাণে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারবে।
কারণ ফেসবুক এর পাশাপাশি এখন ইউটিউব নামক এই ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্মে ক্রমাগত ভাবে অ্যাক্টিভ ইউজার এর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
একটা বিষয় চিন্তা করে দেখুন, আমরা যখন ইউটিউবে আমাদের পছন্দের কোন ভিডিও দেখি। তখন ভিডিওর যেকোনো অংশে আমরা বিভিন্ন রকমের বিজ্ঞাপন দেখতে পাই।
আর এই ধরনের বিজ্ঞাপন গুলো সচরাচর পাঁচ সেকেন্ড থেকে শুরু করে 10 সেকেন্ড পর্যন্ত হয়ে থাকে।
আর অবাক করার মত বিষয় হলো যে ইউটিউব প্লাটফর্মে ভিডিও দেখার সময়। এমন কিছু কিছু বিজ্ঞাপন রয়েছে, যে গুলো আমাদের বাধ্যতামূলক ভাবে দেখতে হয়।
কেননা এই ধরনের বিজ্ঞাপন গুলো স্কিপ করার মত কোন ধরনের অপশন থাকেনা। তবে আপনি যদি আপনার কোন প্রোডাক্ট এর প্রচার করার জন্য ইউটিউব নামক ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম কে বেছে নেন।
তাহলে অবশ্যই আপনাকে মার্কেটিং করার জন্য ভিডিও বিজ্ঞাপন এর দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ আপনার মার্কেটিং করার জন্য যত বেশি আকর্ষণীয় ভিডিও তৈরি করতে পারবেন।
আপনি ঠিক তত বেশি অডিয়েন্স কে টার্গেট করতে পারবেন। আর মার্কেটিং করার জন্য এই ভিডিও গুলো পাঁচ থেকে দশ সেকেন্ডের মধ্যে আপনার পুরো প্রোডাক্ট সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
যাতে করে আপনার সেই পাঁচ থেকে দশ সেকেন্ডের বিজ্ঞাপন টি দেখার সাথে সাথেই ভিজিটররা আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা নিতে পারে।
ইন্সটাগ্রাম এর মাধ্যমে মার্কেটিং (Marketing via Instagram)
উপরের আলোচনা গুলো থেকে আপনি ফেসবুক মার্কেটিং সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এর পাশাপাশি আমি আপনাকে ইউটিউব মার্কেটিং সম্পর্কে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছি।
তবে উপরের প্ল্যাটফর্ম গুলো তে আপনি ভিডিও এবং পিকচার আকারে মার্কেটিং করার কথা জেনেছেন। এর পাশাপাশি ইউটিউব প্লাটফর্মে আপনি শুধুমাত্র ভিডিও বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে মার্কেটিং সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
এবার আমি আপনাকে ইন্সটাগ্রাম এর মাধ্যমে মার্কেটিং করা সম্পর্কে ধারণা দেবো। মূলত আপনি যদি ইনস্টাগ্রাম নামক এই জনপ্রিয় প্লাটফর্মে অনলাইন মার্কেটিং করতে চান।
তাহলে অবশ্যই আপনাকে পিকচার এর মাধ্যমে আপনার প্রোডাক্টের মার্কেটিং করতে হবে। যেমন ধরুন, আপনি আপনার প্রোডাক্ট সম্বন্ধে ডিজাইন সমৃদ্ধ পিকচার তৈরি করলেন।
এবং সেই পিকচারে মাধ্যমে আপনি আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে যাবতীয় বিষয়াদির ফুটিয়ে তুললেন। এখন আপনার সেই পিকচার টি যখন ভিজিটররা দেখবে। তখন অবশ্যই তাদের মধ্যে আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে একটা আগ্রহ কাজ করবে।
এর পাশাপাশি আপনার প্রোডাক্ট তাদের কাছে পরিচিত হবে। কিন্তু একটা কথা অবশ্যই মনে রাখা উচিত যে, আপনি যদি অনলাইন মার্কেটিং করার জন্য ইনস্টাগ্রাম নামক এই প্লাটফর্ম কে বেছে নেন।
তাহলে আপনার বেশ কিছু প্রোডাক্ট এর দিকে নজর রাখা উচিত। যদিওবা ইনস্টাগ্রাম নামক এই জনপ্রিয় প্লাটফর্মে আপনি বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট এর অনলাইন মার্কেটিং করতে পারবেন।
তবে আমার ধারনা মতে আপনার প্রোডাক্ট যদি পোশাক কিংবা জুতা এই জাতীয় পণ্য হয়ে থাকে। তাহলে আপনার জন্য ইনস্টাগ্রাম অনেক উপকারী ভূমিকা পালন করবে।
তাই এই জাতীয় প্রোডাক্ট এর অনলাইন মার্কেটিং করার জন্য আপনার অবশ্যই অবশ্যই এই ইনস্টাগ্রাম নামক প্ল্যাটফর্ম কে বেছে নেওয়া উচিত। এতে করে আপনি অধিক বেশি লাভবান হবেন।
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে মার্কেটিং (Online Marketing via Website)
এতক্ষণ থেকে আপনি অনলাইন মার্কেটিং করার জন্য যেসব প্লাটফর্ম এর নাম দেখেছেন। সে গুলোর সব গুলোই মূলত বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।
কিন্তু এবার আমি আপনাকে সম্পূর্ণ একটি ভিন্ন অনলাইন মার্কেটিং করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে বলব। আর সেই বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটিং করার প্রক্রিয়া টি হল ওয়েবসাইট।
মূলত আপনি কোন সাইটের মাধ্যমে খুব সহজেই অধিক সংখ্যক মানুষের কাছে আপনার প্রোডাক্ট এর মার্কেটিং করতে পারবেন। এবং একটি ওয়েবসাইট থেকে আপনি অনলাইন মার্কেটিং করার যাবতীয় সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
প্রথমত আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট থাকে। তাহলে আপনি খুব সহজেই আপনার প্রোডাক্টের কনটেন্ট পাবলিশ করার মাধ্যমে মার্কেটিং করতে পারবেন।
এবং এর পাশাপাশি আপনি চাইলে গুগল এড এর মাধ্যমে আরও অধিক পরিমান ভিজিটর এর নিকট আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে ধারণা দিতে পারবেন।
আর বর্তমান সময়ে আপনার মত এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা মূলত তাদের পণ্যের প্রচার করার জন্য এই ধরনের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইন মার্কেটিং করে আসছে।
তবে আপনি যদি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইন মার্কেটিং করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে আরো বেশ কিছু বিষয় (online marketing strategy) সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।
আর আপনি যদি সেই নিয়ম গুলো সঠিকভাবে মেনে মার্কেটিং এর কাজ পরিচালনা করেন। তাহলে কিন্তু আপনার সফলতা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যাবে।
আর আপনি যদি সেই বিষয় গুলো সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।
টুইটারের মাধ্যমে মার্কেটিং (Twitter Marketing)
আপনি হয়তো জেনে থাকবেন যে, অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোর মত টুইটার হলো জনপ্রিয় একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।
যদিওবা আমাদের বাংলাদেশের টুইটার নামক এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম তত বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেনি।
তবে আপনি চাইলে আপনার প্রোডাক্টের অনলাইন মার্কেটিং করার জন্য এই টুইটারে নামক সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম কে বেছে নিতে পারেন।
কেননা আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ রয়েছেন। যারা মূলত বিদেশি ক্লায়েন্ট খুঁজে থাকে। তো যারা মূলত বিদেশে থাকা মানুষদের নিকট পণ্য বিক্রি করতে চান, এবং পণ্যের পরিচিতি বাড়াতে চান।
তাদের জন্য টুইটার হবে অন্যতম একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।
কিন্তু একটা কথা অবশ্যই আপনার জেনে রাখা উচিত যে আপনি যদি আপনাদের প্রোডাক্ট এর প্রচার করার জন্য টুইটারকে বেছে নেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে টুইটার এরমধ্যে পেইড প্রমোশন করাতে হবে।
কেননা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোর মত টুইটারে খুব দ্রুততার সাথে ফলোয়ার বাড়িয়ে নেওয়ার মতো কোনো সিস্টেম নেই।
যার কারণে আপনি যদি অনলাইন মার্কেটিং করার জন্য টুইটারকে বেছে নেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে পেইড মার্কেটিং এর দিকে অগ্রসর হতে হবে।
আর এর মাধ্যমেই আপনি সঠিকভাবে আপনার পণ্যের অনলাইন মার্কেটিং করতে পারবেন।
অনলাইনে মার্কেটিং কত ধরনের ?
প্রিয় পাঠক, আর্টিকেলের শুরু থেকে এই পর্যন্ত আপনি অনলাইন মার্কেটিং সম্পর্কে অনেক অজানা বিষয় সম্বন্ধে জানতে পেরেছেন। সবার শুরুতেই আপনি জেনেছেন যে, অনলাইন মার্কেটিং কি।
এর পরবর্তী সময়ে আপনি জানতে পেরেছেন যে, কেন আপনার অনলাইন মার্কেটিং করা উচিত। এবং সবশেষে আপনি জেনেছেন যে, আপনি আসলে কোন কোন প্ল্যাটফর্ম এর মধ্যে অনলাইন মার্কেটিং করতে পারবেন।
তো এখন আপনাকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। আর সেই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো বর্তমান সময়ে মোট কত ধরনের অনলাইন মার্কেটিং (types of online marketing) রয়েছে এবং অনলাইন মার্কেটিং কৌশল
তো চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক যে, অনলাইন মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি (example of online marketing).
আপনি যদি কখনো জানতে চান যে, অনলাইন মার্কেটিং কত প্রকারের। তাহলে আমি আপনাকে এক কথায় উত্তর দিব যে, বর্তমান সময়ে আপনি প্রধানত দুই প্রকারের অনলাইন মার্কেটিং করতে পারবেন।
এবং বর্তমান সময়ে যেসব পণ্যের প্রচার করার জন্য অনলাইন মার্কেটিং করে থাকে। তারা মূলত এই দুটি পদ্ধতি কে অনুসরণ করে থাকে।
চলুন এবার সেই দুই প্রকার অনলাইন মার্কেটিং সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ভাবে জেনে নেওয়া যাক। এবং আপনি আসলে আপনার প্রোডাক্ট এর প্রচার করার জন্য কোন ধরনের মার্কেটিং পদ্ধতি কে বেছে নিবেন।
এবার সে সম্পর্কেও বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব।
পেইড মার্কেটিং (Paid Marketing কি)
আপনি যখন অর্থের বিনিময়ে কোন কিছুকরবেন। তখন তাকে বলা হবে পেইড। আর আপনি আপনার পণ্যের প্রচার করার জন্য যখন অর্থ বিনিময় করবেন। তখন সেই মার্কেটিং করার প্রক্রিয়া কে বলা হবে, পেইড মার্কেটিং।
যেমন ধরুন, আপনি ফেসবুক প্লাটফর্মে আপনার কোন প্রোডাক্ট এর মার্কেটিং করতে চান। সে ক্ষেত্রে আপনি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ কে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করলেন।
এবং এই অর্থ প্রদান করার পরে ফেসবুক তাদের প্লাটফর্মে আপনার পণ্য সম্পর্কে বিভিন্ন মানুষের নিউজ ফিডে বিজ্ঞাপন প্রচার করলো। মূলত এই পদ্ধতিকে বলা হয়ে থাকে, পেইড মার্কেটিং।
ফ্রি মার্কেটিং (Free Marketing কি)
ধরুন আপনি যখন কোন মার্কেটিং করার কাজ অর্গানিক ভাবে করবেন। এবং যে মার্কেটিং করার সময় আপনাআকে কোন প্রকার অর্থ প্রদান করতে হবে না।
সহজ কথায় সেই মার্কেটিং করার পুরো প্রক্রিয়া কে বলা হয়ে থাকে, ফ্রি মার্কেটিং। আপনি চাইলে পেইড মার্কেটিং করার পাশাপাশি ফ্রি মার্কেটিং এর মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার প্রোডাক্টের প্রচার করতে পারবেন।
তবে আপনি যদি অনলাইন মার্কেটিং করার জন্য এই ফ্রি পদ্ধতি ব্যবহার করেন। তাহলে আপনাকে অনেক শ্রম দিতে হবে। এর পাশাপাশি আপনাকে যথেষ্ট সময় পর্যন্ত ধৈর্য ধরতে হবে।
পেইড মার্কেটিং ভালো নাকি ফ্রি মার্কেটিং ভালো ?
এখন হয়ত বা অনেকের মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে যে, যেহেতু অনলাইন মার্কেটিং দুই ভাবে করা যাবে। তাহলে বর্তমান সময়ে আপনি আসলে কোন পদ্ধতিটি বেছে নিবেন।
তো আপনার মনে যদি এই প্রশ্নটি জেগে থাকে, তাহলে আমি আপনাকে বলবো। যে আপনার আসলে কোন ধরনের অনলাইন মার্কেটিং করা উচিত, সেটা মূলত নির্ভর করবে আপনি কোন ধরনের প্রোডাক্ট এর মার্কেটিং করতে যাচ্ছেন।
এবং কোন ধরনের মানুষকে আপনি আপনার প্রোডাক্ট কেনার জন্য টার্গেট করছেন। এর পাশাপাশি আপনাকে আরো একটা বিষয় লক্ষ করতে হবে যে, আপনার মার্কেটিং করার জন্য যে সব প্রোডাক্ট রয়েছে।
সেই প্রোডাক্ট এর অনলাইন প্লাটফর্মে কিরকম প্রতিযোগিতা রয়েছে। কারণ বর্তমান সময়ে আপনি চাইলে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি আপনার প্রোডাক্টের অনলাইন মার্কেটিং করতে পারবেন।
তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই পেইড মার্কেটিং করতে হবে। তবে আমার দৃষ্টিকোণ থেকে আপনার প্রোডাক্ট যদি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করার মাধ্যমে মার্কেটিং করা সম্ভব হয়।
তাহলে আপনি অবশ্যই ফ্রি মার্কেটিং করতে পারবেন। কিন্তু আপনার প্রোডাক্টের যদি প্রতিযোগিতা অনেক বেশি হয়। এবং আপনি যদি খুব দ্রুততার সাথে আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে মানুষ কে জানিয়ে দিতে চান।
তাহলে অবশ্যই আপনাকে পেইড মার্কেটিং করতে হবে। এবার আপনি জানতে পারবেন online marketing advantages and disadvantages সমূহ গুলা কি কি।
অনলাইনে মার্কেটিং এর সুবিধা কি (Benefits of Online Marketing)
এতক্ষণের আলোচিত আলোচনা থেকে আপনি অনলাইন মার্কেটিং কি এবং অনলাইন মার্কেটিং রিলেটেড বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
এখন এই বিষয় গুলো জানান পাশাপাশি আপনাকে জেনে নিতে হবে যে, আপনি যদি অনলাইন মার্কেটিং করেন। তাহলে আপনি আসলে কি কি সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
কারণ অনলাইন মার্কেটিং করার সময় একজন মার্কেটার বিশেষ কিছু দিক থেকে সুবিধা ভোগ করে থাকে। চলুন তাহলে এবার online marketing for beginners সহ online marketing business সে সম্পর্কে একটু আলোক পাত করা যাক।
- অনলাইন মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে আপনি যে বিশেষ সুবিধা টি ভোগ করবেন। সেটি হল যে, আপনি আপনার প্রচার করা পণ্যের বিজ্ঞাপন গুলো সম্পর্কে সঠিক ডাটা সংগ্রহ করতে পারবেন।
- যেমন ধরুন, আপনি মোট দশটি প্রোডাক্ট এর বিজ্ঞাপন প্রচার করলেন। এখন আপনি চাইলে সেই প্রোডাক্ট গুলোর আলাদা আলাদা ডাটা কালেকশন করে নিতে পারবেন।
- এর পাশাপাশি আপনার সেই দশটি প্রোডাক্টের কোন প্রোডাক্ট কে মানুষ সবচেয়ে বেশি পছন্দ করছে। সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নিতে পারবেন।
- অনলাইন মার্কেটিং এর আরো একটি সুবিধা রয়েছে। সেটি হলো আপনি আপনার প্রোডাক্ট এর মার্কেটিং করার প্রক্রিয়া গুলো কে খুব সহজেই পরিচালনা করতে পারবেন।
- আপনি চাইলে আপনার নির্দিষ্ট কোন প্রোডাক্ট নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তির নিকট প্রচার করতে পারবেন। এতে করে আপনার মার্কেটিং প্রক্রিয়া আরো উন্নত হবে।
তো অনলাইন মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে আপনি যে সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। সে গুলোর এক-তৃতীয়াংশ আমি উপরে আলোচনা করেছি।
তবে এর বাইরে আরও বিশেষ কিছু সুবিধা রয়েছে। এবং এই সুবিধা গুলো আপনি তখনই ভোগ করতে পারবেন। যখন আপনি সরাসরি আপনার কোন প্রোডাক্ট অনলাইন মার্কেটিং এর সাথে যুক্ত করবেন।
অনলাইনে মার্কেটিং এর অসুবিধা কি ?
উপরের আলোচনা গুলো দেখার পরে এখন অনেকের মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে যে। অনলাইন মার্কেটিং এর সুবিধা গুলো তো জানতে পারলাম।
কিন্তু এই অনলাইন মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে কি কি অসুবিধা রয়েছে, নাকি অনলাইন মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অসুবিধা নেই।
তো আপনার মনে যদি এমন প্রশ্ন জেগে থাকে। তাহলে আমি আপনাকে বলবো যে, অনলাইন মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে আপনি খুব বেশি একটা অসুবিধা লক্ষ্য করতে পারবেন না।
বরং উপরে আপনি অনলাইন মার্কেটিং এর যেসব সুবিধা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। সেই তুলনায় অনেক কম অসুবিধা দেখতে পারবেন।
আর সে কারণে বলা যায় যে, আপনি অনলাইন মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে যেসব অসুবিধা দেখতে পারবেন, তার পরিমাণ অতি নগণ্য।
তবে অনলাইন মার্কেটিং এর অসুবিধার কথা যদি বলতে হয়। তাহলে আমি আপনাকে বলবো যে, আপনি যখন আপনার কোন প্রোডাক্ট অন্য কোন প্লাটফর্মে গিয়ে মার্কেটিং করার চেষ্টা করবেন।
তখন সবার শুরুতে আপনাকে সেই প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে ভালো ভাবে ধারণা নিতে হবে। যেমন ধরুন, আপনি ফেসবুকে আপনার কোন প্রোডাক্ট এর মার্কেটিং করতে চান।
এখন আপনাকে ফেসবুকে মার্কেটিং করার জন্য যেসব নিয়ম-নীতি আছে। যেমন, কিভাবে কাজ করতে হয়, কোন কাজ গুলো করা যাবে না, এইসব যাবতীয় বিষয়ে আপনাকে পূর্বে থেকেই জেনে নিতে হবে।
কেননা আপনি যদি তাদের প্লাটফর্মের নিয়ম মেনে না চলেন। তাহলে কিন্তু আপনার পরবর্তীদের নানা ধরনের সমস্যা হবে।
এর পাশাপাশি আপনি আরো একটি যে সমস্যার সম্মুখীন হবেন। সেটা হলো যে আপনি যখন ভিন্ন ভিন্ন প্ল্যাটফর্ম গুলো তে আপনার প্রোডাক্টের জন্য অনলাইন মার্কেটিং করতে যাবেন।
তখন আপনি একটা বিষয় লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন যে। প্রতিটা প্লাটফর্মে মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে ভিন্ন ধরনের অ্যামাউন্ট পে করার প্রয়োজন হবে।
যেমন ধরুন, আপনি যদি ফেসবুকের মাধ্যমে কোন প্রোডাক্ট এর অনলাইন মার্কেটিং করতে চান। তাহলে আপনাকে যে পরিমাণ টাকা খরচ করার প্রয়োজন হবে।
তার থেকে কম অথবা বেশি টাকা অন্যান্য প্লাটফর্মে খরচ করতে হবে। কারণ সব প্লাটফর্মে কিন্তু বিজ্ঞাপন প্রচার করার জন্য একই পরিমাণ অ্যামাউন্ট নির্ধারণ করা হয় না।
অনলাইন মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ (Future of Online Marketing)
আর্টিকেল এর এই পর্যন্ত আসার পরে আমার দীর্ঘ বিশ্বাস যে, এতক্ষণে আপনার অনলাইন মার্কেটিং কি সে সম্পর্কে কোন প্রকার অজানা বিষয় নেই।
তো এই বিষয় গুলো জানার পাশাপাশি আপনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি জেনে নিতে হবে। সেটি হলো যে, অনলাইন মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কি।
অর্থাৎ বর্তমান সময়ে অনলাইন মার্কেটিং এর ব্যাপক পরিমাণ চাহিদা রয়েছে। কিন্তু অনেকের মনেই এখন প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে যে, ভবিষ্যৎ সময়ে এই অনলাইন মার্কেটিং এর চাহিদা থাকবে কিনা।
তো এই প্রশ্নের উত্তরে আমি আপনাকে বলবো যে, বর্তমান সময়ে অনলাইন মার্কেটিং এর যে রকম চাহিদা রয়েছে। ভবিষ্যৎ সময়েও ঠিক একই পরিমাণ চাহিদা থাকবে।
কারণ আমরা কোন ক্রমাগত ভাবে উন্নত টেকনোলজির যুগে অগ্রসর হচ্ছি। আর সেই সাথে বাড়ছে আমাদের ইন্টারনেট ব্যবহার করার চাহিদা।
যে কারণে আমরা অধিকাংশ মানুষ বিভিন্ন ধরনের অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলো প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে আসছি।
আর আপনি যদি আপনার পন্যের প্রচার করার জন্য এই ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া গুলো কে ব্যবহার করেন। তাহলে আপনার অনলাইন মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কোনো অংশেই ত্বরান্বিত হবে না।
অনলাইন মার্কেটিং কি নিয়ে কিছু কথা
প্রিয় পাঠক, বর্তমানে আমরা সবাই ইন্টারনেট ব্যবহার করার দিক থেকে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। আর সেই কারণে আমাদের মধ্যে প্রায় সবাই এখন বিভিন্ন ধরনের অনলাইনে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলো ব্যবহার করে আসছি।
এখন আপনি যদি আপনার কোন প্রোডাক্ট কে এই ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোতে মার্কেটিং করাতে চান। তাহলে কিন্তু আপনি আপনার প্রোডাক্ট মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে অনেকটাই সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
আর আজকের আর্টিকেলে আমি এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। কারণ আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল থেকে আপনি জানতে পেরেছেন, অনলাইন মার্কেটিং কি, কিভাবে অনলাইন মার্কেটিং করতে হয়।
এর পাশাপাশি আমি আপনাকে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি যে, অনলাইন মার্কেটিং এর কি কি সুযোগ সুবিধা রয়েছে।
আশা করি আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি অনলাইন মার্কেটিং রিলেটেড যাবতীয় বিষয়গুলো বুঝতে পেরেছেন।
তবে এরপরও যদি আপনার মনে কোন ধরনের প্রশ্ন থেকে থাকে। তাহলে অবশ্যই নিচে একটা কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব আপনার কমেন্টের রিপ্লে দেয়ার জন্য।